-->
বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

ডেঙ্গু: জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

© Mehrab360

বর্ষাকাল। গত কয়েকদিন ধরে ঝুমবৃষ্টি হয়েছে। আজকে আকাশে এক চিলতে রোদ দেখা যাচ্ছে। সাকিব নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্র। স্কুলে যাওয়ার জন্য সে বাসা থেকে বের হল। কিন্তু বের হওয়ার সাথে সাথেই ঘটল বিপত্তি। একটি দ্রুতগামী গাড়ি রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় জমে থাকা পানি ছিটকে এসে সাকিবের জামা ভিজিয়ে দেয়।


সংগৃহীত


 সাকিব স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে জামা পরিবর্তন করে। এরপর দ্রুত একটি রিকশা নিয়ে স্কুলে পৌঁছায়। টিফিন পিরিয়ডে সে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে। তার দেহের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। সেই সাথে মাংশপেশিতেও ব্যথা হতে থাকে। সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে মাকে সাথে করে ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার সব দেখেশুনে সাকিবকে CBC (Complete Blood Count) টেস্ট করতে দেয়। পরেরদিন টেস্টের ফলাফল আসে। সাকিবের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তার রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বেশ অনেকটা কমে গিয়েছে। সাকিবের বাবা-মা এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ডাক্তার সাকিবকে বিশ্রাম নিতে বলে এবং বেশি করে তরল পান করতে বলে।


সাকিব বাসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে মেঘলা আকাশ দেখছে। সাকিব একজন বিজ্ঞানমনস্ক ছেলে। সে জানে যে, বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। হঠাৎ তার মনে প্রশ্নের উদয় হল, ডেঙ্গু হলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় কেন? সে ইন্টারনেট ঘেঁটে জানতে পারল-


সুস্থ মানুষের দেহের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দেহের তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে।


দেহে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশ করলে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিবাদ জানায়। এই প্রক্রিয়ায় সাইটোকাইন নির্গত হয়। সাইটোকাইন হচ্ছে এক ধরনের প্রোটিন যা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। যখন হাইপোথ্যালামাসের রিসেপ্টরে সাইটোকাইন যুক্ত হয়, তখন সাইটোকাইন হাইপোথ্যালামাসকে নির্দেশ দেয় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য। এই বর্ধিত তাপমাত্রা ভাইরাস মেরে ফেলতে সহায়তা করে।‌



{fullWidth}
© Mehrab360