মঙ্গলের নতুন ম্যাপ তৈরি করেছে চীন
© Mehrab360
সিএনএসএর বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই মানচিত্র
© Mehrab360
সিএনএসএর বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই মানচিত্র
লাল গ্রহ মঙ্গলের রঙিন মানচিত্র প্রকাশ করেছে চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সিএনএসএ। তাদের এই মঙ্গল অভিযান তিয়ানওয়েন-১-এর মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে এ মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
![]() |
সংগৃহীত |
মঙ্গলের নতুন এ মানচিত্রের প্রতি পিক্সেল ধারণ করছে মঙ্গলের প্রায় ৭৬ মিটার জায়গা। এর আগে প্রতি পিক্সেলে গ্রহটির ১ কিলোমিটার বা তার বেশি অঞ্চল দেখাতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ১ পিক্সেলে ১ কিলোমিটার জায়গা দেখানোর বিষয়টাকে বলা হয়, ১ কিলোমিটার স্থানগত বা স্পেসিয়াল রেজ্যুলুশন। সেদিক থেকে এটা মঙ্গলের সবচেয়ে বেশি রেজ্যুলুশনের মানচিত্র।
তিয়ানওয়েন-১ অভিযানের মূল মহাকাশযানে ছিল একটি অরবিটার বা কক্ষপথযান, দুটি ডিপ্লয়েবল ক্যামেরা, একটি রিমোট ক্যামেরা, একটি ল্যান্ডার ও ঝাউরং রোভার। এসবের পাশাপাশি ছিল ১৪টি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। এ অভিযানের লক্ষ্য, মঙ্গলের ভূ-প্রকৃতি, অভ্যন্তরীণ কাঠামো, বায়ুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য ও পানি অনুসন্ধান করা।
২০২০ সালের ২৩ জুলাই শুরু হয় তিয়ানওয়েন-১ মিশন। এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মহাকাশযানটি পৌঁছায় মঙ্গলের কক্ষপথে। প্রায় তিন মাস কক্ষপথে অবস্থানের পর মঙ্গলের মাটিতে পৌঁছে যায় চীনের রোভার। যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পর মঙ্গলের বুকে তৃতীয় দেশ হিসেবে নাম লেখায় চীন। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিএনএসএ) প্লানেটরি এক্সপ্লোরেশন অব চায়না বা তিয়ানওয়েন প্রকল্পের প্রথম মিশন এটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সৌরজগতের গ্রহগুলোতে রোবোটিক মিশন পরিচালনা করা।
মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষের অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন এ মানচিত্র দারুণভাবে কাজে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্যাটাগরি
মহাকাশ