শিয়ালের চালাকি - বাংলা কার্টুন
© Mehrab360
একদিন একটি শিয়াল খিদের জ্বালায় বাঘের গুহা থেকে খাবার চুরি করতে চেয়েছিল। বাঘ কোথায় খাবার রেখে গেছে তা খোঁজ করি। খিদের জ্বালায় আর পারছি না। যাই গুহার ভিতরে যাই বাঘ দেখতে পারার আগে খাবার খেয়ে ফেলি।
{fullWidth}
© Mehrab360
একদিন একটি শিয়াল খিদের জ্বালায় বাঘের গুহা থেকে খাবার চুরি করতে চেয়েছিল। বাঘ কোথায় খাবার রেখে গেছে তা খোঁজ করি। খিদের জ্বালায় আর পারছি না। যাই গুহার ভিতরে যাই বাঘ দেখতে পারার আগে খাবার খেয়ে ফেলি।
আরে এ তো একটা গরু এত বড় গরু তো আমি টেনে নিয়ে যেতে পারব না। ঠিক আছে যতটা পারি খেয়ে চলে যাই। শিয়াল গরুটাকে খেতে লাগল আর অন্যদিকে।
হরিণের মাংসটা অনেক মজা লাগল। আজকের মতো আমার খাবার হয়ে গেছে। এবার বাসায় গিয়ে আমি বিশ্রাম নিই। রাতে গরুটা খেয়ে নেব।
আরে শিয়াল এখানে কী করছিস?
তুই দেখছি আমার গুহায় এসে আমার খাবার খেতে শুরু করেছিস। তুই এত বড় সাহস কোথায় পেলি।
ইয়ে মানে আসলে হয়েছে কী?
তুই নিশ্চয়ই এখন আমাকে পাগল বুঝিয়ে পালাতে চাইবি। কিন্তু তা আমি হতে দেব না, তোকে একটা উচিত শিক্ষা দেব।
কিছুক্ষণ পর।
শিয়াল, এই শিয়াল।
বলুন বাঘ মামা কিসের জন্য ডাকলেন।
যা আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়। আর মনে রাখিস খাবার না আনতে পারলে আমি তোকেই খেয়ে ফেলবো।
মনে থাকবে বাঘ মামা। আমি এখনই যাচ্ছি।
শিয়াল খাবার খুঁজতে জঙ্গলে গেল। আর সে একটা খরগোশ হত্যা করে নিয়ে এলো।
খরগোশটা খেয়ে নিন বাঘ মামা
বাঘ পুরো খরগোশটি একাই খেয়ে ফেলল। তারপর বলল।
হুঁ খরগোশটি খেয়ে অনেক মজা লাগল। অনেক সুস্বাদু এই খরগোশটি।
ওদিকে সে খরগোশ খাচ্ছে। আর আমি এদিকে না খেয়ে কাঁদি। কী আর করার আছে, আজকের দিনটা খারাপ যাচ্ছে। কার মুখ দেখে যে উঠেছি সকালে?
পরদিন বাঘ আবার শিয়ালকে ভয় দেখায়। আর শিয়ালকে খাবার নিয়ে আসতে বলে।
হায়রে কপাল বাঘের খাবার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লাম এবার যদি বাঘের কথা না মানি তাহলে বাঘ আমাকে জঙ্গলের যে কোনও জায়গা থেকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলবে।
আর বনের চারদিকে যে পরিমাণ পানি বেড়েছে, জঙ্গল ছেড়ে পালিয়ে অন্য জায়গাতেও যেতে পারব না।
শিয়াল অনেকটা পথ যাওয়ার পর দুইটা জেব্রার বাচ্চা দেখতে পেল।
আর তাদের কাছে গিয়ে বলল।
আরে ছোট ছানারা।
ওদিকে এত ভালো ভালো ঘাস রেখে তোমরা কিসের শুকনো ঘাস খেয়ে চলছো। আমার সাথে চলো আমি তোমাদের কচি ঘাসের কাছে নিয়ে যাব। ইয়ে মানে আসলে হয়েছে।
শিয়াল তার এই বুদ্ধিতে কাজ হচ্ছে না দেখে আরেকটা নতুন ফন্দি আঁটতে শুরু করে।
তোমরা কি জানো জঙ্গলে তোমরা একমাত্র সাদাকালো আছো আর বাকি সবাই রঙিন হয়ে গেছে কেন?
মানে?
তোমরা সাদা কালো প্রাচীন যুগের মতো চিন্তা করো।
কিন্তু সব কিছু এখন রঙিন ও আধুনিক হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলেও এখন কোনও ভয় নেই। বিশ্বাস না হলে চলো আমার সাথে।
শিয়াল বুদ্ধি দিয়ে জেব্রা দুটোকে মেরে বাঘের কাছে নিয়ে গেল। আর সে মনে মনে ভাবলো। আজকে দুইটা শিকার করেছি। আজকে হয়তো কিছু খাওয়া যাবে।
বাঘ মামা বাঘ মামা এই নিন আপনার শিকার।
বাঘ জেব্রা দুইটাকে একাই খেয়ে ফেলল আর শিয়াল কে বলল।
তুই এই প্রাণী দুইটিকে শিকার করেছিস বলে আজ তুই হাড়গুলো খেতে পারিস নে খা।
শেয়ালের দিন এভাবেই কাটতে লাগল।
সে কখনো খেতে পেত তো, কখনও খেতে পেত না।
এমনভাবে কয়েকদিন কেটে গেল।
কিছুক্ষণ পর।
কিনা সুন্দর একটা হরিণ শিকার শিকার করলাম। কিন্তু তা আবার দিয়ে দিতে হবে বাঘটাকে। ওই বাঘকে শায়েস্তা করার কোন সুযোগ যদি পেতাম।
শেয়াল এসব ভাবতে ভাবতে যেতে লাগল। সামনে এগোতে থাকে আর ভাবে কি করলে বাঘকে বিপদে ফেলা যায়।
একটা বুদ্ধি পেয়েছি। একটা বিষ যদি হরিণের মাংসের মধ্যে দিয়ে দিই তাহলে বাঘ এই মাংস খেলে বাঘ মারা যাবে। আর আমি তখন মুক্তি পেয়ে যাবো।
তখন শিয়াল হরিণের মাংসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেয় এবং বাঘের কাছে নিয়ে যায়
বাঘ মামা এই নেও হরিণের মাংস।
বাঘ হরিণের মাংস সব নিজেই খেয়ে ফেলে। বাঘ বলল
শোন ভাগ্নে আমি একটু বিশ্রাম নিচ্ছি তুই আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই নতুন শিকার আনবি। আমার শরীর ভালো লাগছেনা।
হ্যাঁ! হ্যাঁ! না মামা তোমার আর শরীর ভালো হবেনা। আমি এই মাংসের ভিতর বিষ মিশিয়ে দিয়েছি। তোমার অত্যাচার এখন বন্ধ হলো। তোমার অত্যাচার অনেক সহ্য করেছি। এখন দেখো অত্যাচারের কিভাবে অবসান হয়।
ভিডিও নিচে থেকে দেখুন