-->
বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

৫০০ ফুটের দৈত্যাকার গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে

© Mehrab360


এই বিশাল প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে ঘটতে পারে ধ্বংসাত্মক! দানব আকার এই গ্রহাণুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবার সতর্কবার্তা দিল নাসা। ৩৩ হাজার ৯৪৭ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসা এই গ্রহাণু আজই কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে পৃথিবীর।


পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এই গ্রহাণুটিকে ২০২০ ডব্লু জি অ্যাপোলো গ্রুপের মধ্যে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত পৃথিবী থেকে গ্রহাণুর দূরত্ব ও তার আয়তন হিসেব করে 'সম্ভাব্য বিপজ্জনক' গ্রহাণুগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করেন বিজ্ঞানীরা।

মূলত ৪৬০ ফুটের চেয়ে বড় ও পৃথিবী থেকে ৭.৫ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্য দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুগুলোকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই অংকে এই গ্রহাণুকে পৃথিবীর জন্য ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

নাসার দাবি, ২০২০ ডব্লু জি নামের এই গ্রহাণুটি ৩.৩৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবী অতিক্রম করবে। ফলে তুলনামূলক কাছ থেকে অতিক্রম করা এই বিশাল মহাজাগতিক পিণ্ডের উপর কড়া নজর রেখেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।

তবে সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের শঙ্কা কমই থাকে। যদিও কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। 

তাই নিয়মিতই এই ধরনের গ্রহাণুর গতিবিধির নিরীক্ষণ করে নাসা। জুলাই মাসেই পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে চলে গিয়েছে অন্তত ১০টি গ্রহাণু। এরই পাশাপাশি গ্রহাণুর পাথুরে শরীর থেকে উপাদান সংগ্রহের চেষ্টাও করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নাসার পরিকল্পনা রয়েছে পৃথিবীর কাছাকাছি এসে পড়া কোনও গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে সেটির গতি কমিয়ে দেওয়ার।
{fullWidth}

মন্তব্য করুন


এই ওয়েবসাইটের শর্তাবলী অবশ্যই মেনে মন্তব্য করতে হবে
© Mehrab360