বজ্রপাত আসলে কেন হয়
বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউজ গ্যাস CO2 এর পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এপ্রিল মে মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এ সময়ে কালবৈশাখী মেঘের সৃষ্টি হয়। মেঘ সৃষ্টির সময় বায়ুমণ্ডলের ঋণাত্মক তড়িৎ আধান এর পরিমাণ বেড়ে যায়। বায়ুমণ্ডলের দুটি ঋণাত্মক তড়িৎ প্রবাহ যখন একসাথে মিশে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
আকাশে নিচের দিকে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি হয়। এখান থেকেই সৃষ্টি হওয়া বজ্রপাত সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এসে আঘাত হানে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ ধরনের বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। বর্জ্য পাতের সময় যে তাপ সৃষ্টি হয় তার পরিমাণ 27760° F বা 15404° C ।
এ কারণেই বজ্রপাতের 15 থেকে 20 ফুটের মতো যে কোন প্রাণী থাকলে তার মৃত্যু অনিবার্য। এক একটি বজ্রপাতের সময় 600 মেগা ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র 100 ভোল্ট বিদ্যুৎ ই যথেষ্ট।
বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত ছয় বছরে সারা দেশে বজ্রপাতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি হয় বাংলাদেশে বজ্রপাতের। বাংলাদেশ দুর্যোগ ফোরামের তথ্য অনুযায়ী 2020 সালের 3 জুন পর্যন্ত 220 জন মারা গেছে বজ্রপাতের কারণে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় প্রতি 1° C তাপমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে বজ্রপাতের সম্ভাবনা 10% বেড়ে যায়। পৃথিবীর যে কয়েকটি অঞ্চল বর্জ্যপাত প্রবণ তার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অন্যতম। গ্রিন হাউজ গ্যাস CO2 নিঃসরণের হার কমাতে না পারলে আগামী দিনগুলোর চিত্র আরো ভয়াবহ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
{fullWidth}