বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

যে বিজ্ঞানী নিজেই জানতেন না তিনি একজন বিজ্ঞানী

© Mehrab360


• জিনতত্ত্ব 

আধুনিক জিন তত্ত্বের জনক হিসেবে গ্রেগর জোহান মেন্ডেল পরিচিত। কিন্তু তাকে নিয়ে একটু অদ্ভুত কাহিনী ছিল। 

এআই নিয়ে নির্মিত




তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়া বাসী একজন ধর্মযাজক। দীর্ঘ সাত বছর বিভিন্ন মটরশুটি (Pea) গাছের ওপর নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তিনি বংশগতির দুটি সূত্র প্রবর্তন করেন। তার সূত্রগুলোকে মেন্ডেলের সূত্র বলা হয় এবং প্রদত্ত তত্ত্ব বর্তমান জিনতত্ত্বের উপর ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।

কৃষকের সন্তান যখন মেন্ডেলের জন্ম ১৮২২ সালে অস্ট্রিয়ায়। তাঁর স্বপ্ন ছিল শিক্ষক ও বিজ্ঞানী হবেন। কিন্তু দারিদ্র্যের কষাঘাতে তাঁর আশা-আকাঙ্ক্ষা ধুলিসাৎ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ ত্যাগ করে অস্ট্রিয়ায় ব্রুন শহরে অবস্থিত গির্জায় শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন।

১৮৫৭ সালে মেন্ডেলের ৩৪ প্রকার মটরশুঁটি সংগ্রহ করে গীর্জা সংলগ্ন বাগানে উদ্ভিদের বংশগতির রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন। দীর্ঘ সাত বছরের কঠিন ও শ্রমসাধ্য পরিবেশে তিনি বংশগতি দুটি সূত্র আবিষ্কার করেন। তাঁর পরীক্ষার সমস্ত কাগজপত্র ১৮৮৬ সালে ব্রুন ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটিতে জমা দেন। আপাতদৃষ্টিতে অতি সাধারণ এই পরীক্ষার গুরুত্ব ঊনবিংশ শতাব্দীতে কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি। ১৮৮৪ সালের ৬ জানুয়ারি তার সূত্র কে প্রতিষ্ঠা লাভের আগেই মেন্ডেল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর ১৬ বছর পর অর্থাৎ ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে তিন ভিন্ন দেশের তিন বিজ্ঞানী পৃথকভাবে কিন্তু একই সময়ে মেন্ডেলের গবেষণা ফলাফল পুনরাবিষ্কার করেন।

বিজ্ঞানীরা হলেনঃ
  1. নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী হিউগো ডে ভ্রিস
  2. জার্মানি উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যাপক কার্ল করেন্স
  3. ফার্স্ট ইয়ার কৃষি বিজ্ঞানী এরিক শ্চের্মেক
আশ্চর্যের বিষয় হলো এ বিজ্ঞানীরা তাদের সকল পরীক্ষা-নিকাশ শেষ করেই মেন্ডেলের গবেষণা সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলেন। এভাবেই মেন্ডেলের গবেষণা মাধ্যমে বংশগতি মৌলিক সূত্রের আবিষ্কার ও প্রকাশের মাধ্যমে যে ভিত্তি রচিত হয় তার উপর নির্ভর করে জীব বিজ্ঞানের বংশগতিবিদ্যা নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার বিকাশ ঘটে। এ কারণেই মেন্ডেল কে বংশগতিবিদ্যার তার জনক বলে অভিহিত করা হয়।
{fullWidth}
© Mehrab360