গাছ থেকে কাগজ কিভাবে তৈরি হয়
© Mehrab360
মিসরীয়রা প্রথম গাছ থেকে কাগজ বানিয়েছিলেন। এটাকে আদিকাগজও এবং প্যাপিরাস বলা হয়। প্যাপিরাসগাছের কাণ্ডের আঁশ দিয়ে দিয়ে এই আদিকাগজ বানানো হতো। এই গাছ প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা হতে পারে। প্রাচীন মিসরের অধিবাসীরা এসব আঁশের স্তর পানিতে ভিজিয়ে রেখে, সেটাকে চাপ দিয়ে কাগজ মতন তৈরি করে নিত। এটাই ছিল প্যাপিরাস। এই প্যাপিরাসে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দলিলাদি, গল্প বা ধর্মীয় বার্তা কিংবা চিঠি কিছু লিখে রাখত।
{fullWidth}
© Mehrab360
মিসরীয়রা প্রথম গাছ থেকে কাগজ বানিয়েছিলেন। এটাকে আদিকাগজও এবং প্যাপিরাস বলা হয়। প্যাপিরাসগাছের কাণ্ডের আঁশ দিয়ে দিয়ে এই আদিকাগজ বানানো হতো। এই গাছ প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা হতে পারে। প্রাচীন মিসরের অধিবাসীরা এসব আঁশের স্তর পানিতে ভিজিয়ে রেখে, সেটাকে চাপ দিয়ে কাগজ মতন তৈরি করে নিত। এটাই ছিল প্যাপিরাস। এই প্যাপিরাসে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দলিলাদি, গল্প বা ধর্মীয় বার্তা কিংবা চিঠি কিছু লিখে রাখত।
কাগজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পড়ালেখা, যোগাযোগ এবং শিল্পে এর বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। কাগজ তৈরির মূল উপাদান হলো গাছ।
কাঁচামাল সংগ্রহ
কাগজ তৈরির জন্য প্রধানত নরম কাঠের গাছ যেমন, পাইনের মতো গাছ ব্যবহৃত হয়। এসব গাছে প্রচুর সেলুলোজ থাকে, যা কাগজ তৈরির মূল উপাদান। প্রথমে বন থেকে গাছ সংগ্রহ করা হয় এবং এগুলো কাঠের ছোট ছোট টুকরোতে রূপান্তরিত করা হয়।
সেলুলোজ নিষ্কাশন
কাঠের টুকরোগুলো থেকে সেলুলোজ ফাইবার বের করার জন্য এগুলোকে বড় বড় যন্ত্রে পিষে মণ্ডে রূপান্তর করা হয়। এই মণ্ডটি "পাল্প" নামে পরিচিত। পাল্প তৈরি করতে রাসায়নিক প্রক্রিয়াও ব্যবহার করা হয়, যেখানে কাঠের টুকরোগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাসায়নিক দ্রবণে সেদ্ধ করা হয়। এতে কাঠের অবাঞ্ছিত অংশ যেমন লিগনিন আলাদা হয়ে যায় এবং কাগজ তৈরির উপযোগী সেলুলোজ ফাইবার পাওয়া যায়।
পরিশোধন ও ব্লিচিং
সেলুলোজ মণ্ডকে পরিষ্কার ও ব্লিচ করা হয় যাতে এটি সাদা ও মসৃণ হয়। এ পর্যায়ে বিভিন্ন রাসায়নিক যেমন ক্লোরিন এবং অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়। ব্লিচিং প্রক্রিয়া কাগজের গুণগত মান উন্নত করে এবং এর রং উজ্জ্বল করে।
কাগজে রূপান্তর
পরিশোধিত মণ্ডটি বড় বড় যন্ত্রের সাহায্যে পাতলা স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর এই স্তরটি থেকে পানি বের করে ফেলা হয় প্রেসিং এবং ড্রায়িং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ড্রায়ার মেশিনের সাহায্যে মণ্ডটিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে একটি পাতলা, শক্তিশালী কাগজ তৈরি করা হয়।
আকার এবং সমাপ্তি
শুকনো কাগজকে বিভিন্ন আকারে কাটা হয় এবং এর ওপর চাহিদা অনুযায়ী মসৃণতা, গ্লস বা প্রিন্টিং কোডিং দেওয়া হয়। এরপর এটি বান্ডেলে প্যাকেজিং করে বাজারজাত করা হয়।
ক্যাটাগরি
প্রযুক্তি