স্মার্টফোনে স্ক্রল করলে কি আঙ্গুলের ক্ষতি হয়?
{getToc} $title={বিষয়বস্তু সারণি} $count={Boolean} $expanded={Boolean}
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনভর স্ক্রল করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটানো, খবর পড়া, বা কেনাকাটার জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজ করা আমাদের রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এই অভ্যাস কি আমাদের আঙুল এবং হাতে কোনো ক্ষতি করতে পারে? বিশেষত, থাম্ব বা বুড়ো আঙুলের জন্য কি এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
![]() |
এআই দিয়ে নির্মিত |
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের শারীরিক প্রভাব
অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী একটি হাত দিয়ে স্ক্রল করেন এবং প্রধানত বুড়ো আঙুল ব্যবহার করেন। এই অভ্যাসটি একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে, যাকে বলে "টেক্সট থাম্ব" বা "ডিজিটাল থাম্ব পেইন"। এটি একটি পুনরাবৃত্ত চাপজনিত আঘাত (RSI), যা সাধারণত একই ধরনের কাজ বারবার করার ফলে ঘটে।
টেক্সট থাম্বের লক্ষণগুলোঃ
১. আঙুল বা কব্জিতে ব্যথা।
২. আঙুলের মোবিলিটি বা নড়াচড়ায় অসুবিধা।
৩. আঙুলের গিঁটে ফুলে যাওয়া।
৪. দুর্বল গ্রিপ বা চেপে ধরার ক্ষমতা হ্রাস।
কেন এটি ঘটে?
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়, বিশেষ করে স্ক্রল করার সময়, থাম্বের অস্বাভাবিক কোণ এবং অতিরিক্ত চাপের কারণে এই ব্যথা দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে একই কাজ করার ফলে আঙুলের টেন্ডন এবং লিগামেন্টে অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। আমাদের আঙুল এবং হাতের গঠন এমন যে এটি একটানা স্ক্রল করার জন্য ডিজাইন করা নয়।
কীভাবে এড়ানো যায়?
১. বিরতি নিনঃ প্রতি ২০-৩০ মিনিট পরপর স্ক্রলিং বন্ধ করে হাত বিশ্রাম দিন।
২. হাত প্রসারিত করুনঃ থাম্ব এবং কব্জির জন্য কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন।
৩. অল্টারনেটিভ পদ্ধতিঃ স্ক্রল করার জন্য অন্য আঙুল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
৪. ভয়েস কন্ট্রোল ব্যবহার করুনঃ কিছু কাজের জন্য ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার ব্যবহার করলে স্ক্রল করার প্রয়োজনীয়তা কমবে।
৫. প্যাডেড কেস ব্যবহার করুনঃ স্মার্টফোনের কেসে অতিরিক্ত গ্রিপ থাকলে কম চাপ দিয়ে ফোন ব্যবহার করা সম্ভব।
যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা কখনো কখনো ফিজিওথেরাপি বা বিশেষ ধরণের স্প্লিন্ট (আঙুল সাপোর্ট) ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে ঠিকই, তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সময় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা এবং সময়োপযোগী বিরতি নেওয়া হলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।
{fullWidth}