গুগলের পেজ র্যাঙ্কিং কিভাবে অনুসরণ করা হয়
গুগল পেজর্যাংক অ্যালগরিদম
গুগলের পেজর্যাংক অ্যালগরিদম ওয়েবসাইটগুলোর লিঙ্ক স্ট্রাকচারের উপর ভিত্তি করে তাদের গুণমান এবং গুরুত্বপূর্ণতা নির্ধারণ করে। এই পদ্ধতিটি ম্যাট্রিক্স এবং লিনিয়ার অ্যালজেব্রার ধারণার উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
১. লিঙ্ক ম্যাট্রিক্স তৈরি
ওয়েবসাইটগুলোকে নোড এবং তাদের মধ্যে থাকা লিঙ্কগুলোকে এজ হিসেবে ধরা হয়। সমস্ত ওয়েবসাইটের লিঙ্ক সম্পর্ককে একটি Adjacency Matrix আকারে প্রকাশ করা হয়ঃ
Aij = 1
: যদি পেজi
থেকে পেজj
-এ লিঙ্ক থাকে।Aij = 0
: যদি লিঙ্ক না থাকে।
যদি A পেজ B এবং C-কে লিঙ্ক করে এবং B পেজ শুধুমাত্র C-কে লিঙ্ক করে, তাহলে ম্যাট্রিক্সটি এভাবে হতে পারেঃ
A = | 0 1 1 | | 0 0 1 | | 1 0 0 |
২. স্টোকাস্টিক ম্যাট্রিক্সে রূপান্তর
লিঙ্ক ম্যাট্রিক্সকে একটি স্টোকাস্টিক ম্যাট্রিক্স-এ রূপান্তর করা হয়। এতে প্রতিটি কলামের যোগফল ১ হয়। ফর্মুলাটি হলোঃ
Pij = Aij / dj,
যেখানে dj হলো পেজ j
-এর আউটলিঙ্কের সংখ্যা।
৩. ড্যাম্পিং ফ্যাক্টর যোগ
একটি ড্যাম্পিং ফ্যাক্টর (সাধারণত 0.85
) যোগ করা হয় যা এলোমেলোভাবে পেজে লাফানোর সম্ভাবনা নির্দেশ করে। এটি ম্যাট্রিক্সটিকে আরও বাস্তবসম্মত করে তোলে:
M = dP + (1-d)E,
এখানেঃ
d
: ড্যাম্পিং ফ্যাক্টর (সাধারণত0.85
)।E
: একটি ইউনিফর্ম ম্যাট্রিক্স যেখানে প্রতিটি উপাদান1/N
।
৪. ইটারেটিভ পদ্ধতিতে র্যাংক নির্ধারণ
একবার ম্যাট্রিক্স M
প্রস্তুত হলে র্যাংকগুলি পুনরাবৃত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। শুরুতে প্রতিটি পেজকে সমান র্যাংক দেওয়া হয়। র্যাংক আপডেট করার ফর্মুলাটি হলোঃ
R = M × R
এই পদ্ধতি চালিয়ে যাওয়া হয় যতক্ষণ না র্যাংক স্থির হয়ে যায়।
৫. উদাহরণ
ধরা যাক, তিনটি পেজ A, B, এবং C আছে:
- A পেজ B এবং C-কে লিঙ্ক করে।
- B পেজ শুধুমাত্র C-কে লিঙ্ক করে।
- C পেজ A-কে লিঙ্ক করে।
তাদের লিঙ্ক ম্যাট্রিক্সঃ
A = | 0 1 1 | | 0 0 1 | | 1 0 0 |
৬. পেজর্যাংকের গুরুত্ব
গুগলের পেজর্যাংক অ্যালগরিদম ওয়েবপেজগুলোর গুরুত্ব এবং সংযোগ বুঝতে সাহায্য করে। এটি কেবল কীওয়ার্ড নয়, বরং লিঙ্ক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে পেজের র্যাংক নির্ধারণ করে।
পেজর্যাংক অ্যালগরিদম লিঙ্ক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওয়েবের তথ্য খুঁজে পাওয়া সহজ করেছে। এটি SEO এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা।
{fullWidth}