বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

বেগুনে পোকা ধরলে ভুলেও স্প্রে করা যাবে না। কী করবেন তাহলে?

© Mehrab360
সাধারণ বেগুন ও Bt - বেগুনের মধ্যে পার্থক্য হলো এক প্রকার পোকা সাধারন বেগুন গাছের কচিডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে ফলন দারুন ভাবে হ্রাস পায়। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য কৃষককে প্রতি সিজন-এ ৬০-১৮০ বার পোকানাশক ওষুধ স্প্রে করতে হয়। Bt- বেগুন 🍆  ঐ পোকার আক্রমণ হবেনা, তাই পোকানাশক ওষুধও স্প্রে করতে হবে না। 

এআই দিয়ে নির্মিত


এখন জানুন Bt- বেগুন কী?

Bacillus thuringiensis নামক একটি সয়েল ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন (CrylAc) বেগুনের জিনোমে অন্তর্ভুক্ত করে উৎপন্ন বেগুনের নাম দেওয়া হয়েছে Bt- বেগুন।

পোকানাশক স্প্রে করলে কী হয়?

বেগুন ক্ষেতে পোকা নাশক স্প্রে করলে পোকা আক্রমণ থেকে গাছ ও ফসল রক্ষা পায়, তবে
  1. বেগুনের সাথে ওষুধ মানুষের দেহে প্রবেশ করে এবং পরিণামে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়।
  2. ফসলের জমি থেকে বৃষ্টির পানির সাথে পোকা নাশক বিষ নিকটস্থ নদী-নালা জমা হয় এবং জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বিশেষ করে মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
  3. মাটি ও পরিবেশ বিষাক্ত হয়।
  4. কৃষকের হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয় এবং বহু কর্মঘন্টা ব্যয় করে ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
  5. ওষুধ স্প্রেকারী ব্যক্তি ও একসময় এই বিষ দ্বারা আক্রান্ত হয় এতে কেবলমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি লাভবান হয় আর সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Bt- বেগুন চাষ করলে কি লাভ হবে?

ওখানে শুক ওষুধ কিনতে হবে না ও স্প্রে করা লাগবে না এতে হাজার হাজার টাকার উৎপাদন খরচ কম হবে। আমরা যারা বেগুন খাই তারাও এই বিষ দ্বারা বিষক্রিয়া আক্রান্ত হবো না এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকবো। মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে। আশেপাশের জলাশয় বিষমুক্ত থাকবে এবং জলজ পরিবেশে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং উৎপাদন বাড়বে।

{fullWidth}
© Mehrab360