চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস (এইচএমপিভি) সম্পর্কে
© Mehrab360
{fullWidth}
© Mehrab360
হিউম্যান-মেটা-নিউমো (HMP) ভাইরাসের সংক্রমণে চীনের রহস্যময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এটির লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে জাপানেও। ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) একটি আরএনএ ভাইরাস যা প্রধানত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। এটি বিশেষত শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের মধ্যে বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
{getToc} $title={বিষয়বস্তু সারণি} $count={Boolean} $expanded={Boolean}
ভাইরাসের গঠন ও বৈশিষ্ট্য
HMPV একটি এনভেলপযুক্ত আরএনএ ভাইরাস, যা প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এর গঠন গোলাকার এবং এর পৃষ্ঠে গ্লাইকোপ্রোটিন রয়েছে, যা হোস্ট কোষে সংক্রমণ ঘটাতে সহায়তা করে। এই ভাইরাসটি সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের এপিথেলিয়াল কোষকে লক্ষ্য করে।
উপসর্গ
HMPV দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ সাধারণ ঠাণ্ডা থেকে শুরু করে গুরুতর নিউমোনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এর প্রধান উপসর্গগুলো হলোঃ
হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার জ্বর
সর্দি এবং গলা ব্যথা
কাশি ও শ্বাসকষ্ট
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
গুরুতর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া
সংক্রমণের পদ্ধতি
HMPV সংক্রমণ সাধারণত শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ঘটে। এটি হাঁচি, কাশি, বা সংক্রমিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শীতকাল এবং বসন্তে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
HMPV সনাক্তকরণে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (PCR) এবং অ্যান্টিজেন ডিটেকশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে HMPV-এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। চিকিৎসা প্রধানত উপসর্গ উপশমের উপর নির্ভরশীল।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
১. নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার।
২. সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।
৩. ঘনিষ্ঠ স্থানে মাস্ক পরা।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
বিশ্বব্যাপী প্রভাব
HMPV শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে প্রায় ৭%-১০% ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গবেষণা অব্যাহত রয়েছে, এবং শীঘ্রই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী টিকা উদ্ভাবন হবে বলে আশা করা যায়।
ক্যাটাগরি
বিজ্ঞান