আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে?
আমরা অসংখ্য মানুষের চেহারা চিনতে পারি, চিনতে পারি একটা বিড়াল আর ভাল্লুকের পার্থক্য কী কিন্তু এগুলো আমরা কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি মেনে শিখি নেই। আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের দেখা প্যাটার্নগুলো মনে রেখেছে আর সেই পরিচিত প্যাটার্নের সাথে মিলে গেলে আমাদের জানিয়েছে যে নতুন দেখা এই বস্তুটি আগের দেখা কোনো কিছুর মতোই। এভাবেই মূলত কোনোকিছু চিনতে পারি আমরা। আর এই কাজটা করে আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন।
![]() |
এআই দিয়ে নির্মিত |
আমাদের মস্তিষ্ক বিশেষভাবে তৈরী নিউরন নামের কিছু কোষ দিয়ে গঠিত। মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন আছে। আমরা যখন কিছু চিন্তা করি তখন একটা নিউরনের সাথে আরেকটা নিউরন সংযোগ স্থাপন করে। একে সিন্যান্স বলা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিউরনদের এই পারস্পারিক সংযোগ বা সিন্যান্স এর মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন রকম হতে পারে। অর্থাৎ, তুমি যদি বেশী বেশী অংক করো, তাহলে সেই অংকের জন্য ব্যবহৃত নিউরনগুলো নিজেদের মাঝে বারবার বন্ধন গঠন করবে। আর সেই একই ধরণের নিউরনদের মধ্যে গঠিত সিন্যান্সের বন্ধন অন্যান্য নিউরনদের তুলনায় হবে অনেক বেশী শক্তিশালী।
মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ যা দেহের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মূলত নিউরন দিয়ে গঠিত, যা বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে। মস্তিষ্কের প্রধান অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রন্টাল লোব (পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া), প্যারাইটাল লোব (ইন্দ্রিয় তথ্য প্রক্রিয়াকরণ), টেম্পোরাল লোব (স্মৃতি ও শ্রবণ), এবং অক্সিপিটাল লোব (দৃষ্টি)। মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা নিউরন ও সাইনাপসিক সংযোগগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখে। এটি চিন্তা, অনুভূতি, স্মৃতি এবং নাড়াচাড়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
{fullWidth}