গুগল ম্যাপসে নিজের অবস্থান অন্যদের শেয়ার করতে হয় যেভাবে
© Mehrab360
{fullWidth}
© Mehrab360
গুগল ম্যাপস বর্তমান সময়ে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং জনপ্রিয় টুল, যা ব্যবহারকারীদের মানচিত্রে স্থান খুঁজে পাওয়া, নেভিগেশন, এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। এই অ্যাপটি আরও একটি কার্যকর ফিচার দিয়ে সজ্জিত, যা হলো অবস্থান শেয়ারিং (Location Sharing)। নিজের অবস্থান দ্রুত এবং সহজে অন্যদের জানানো বা লাইভ লোকেশন শেয়ার করার এই ফিচারটি দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
{getToc} $title={বিষয়বস্তু সারণি} $count={Boolean} $expanded={Boolean}
![]() |
লোকেশন শেয়ারিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বিপদে বা দুর্ঘটনার সময় দ্রুত নিজের অবস্থান জানানোর জন্য এটি কার্যকর। ভ্রমণের সময় লাইভ লোকেশন শেয়ার করে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হওয়ার জন্য সঠিক লোকেশন শেয়ার করে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।
আপনার স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপস অ্যাপ চালু করুন। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই উপলব্ধ। অ্যাপের উপরের ডান দিকে থাকা প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন। এর পরে "Location Sharing" অপশনটি সিলেক্ট করুন। একটি নতুন স্ক্রিনে "Share your real-time location" অপশন দেখাবে। আপনি কত সময়ের জন্য লোকেশন শেয়ার করবেন, সেটি নির্ধারণ করতে পারবেন। উদাহরণ, ১ ঘণ্টা বা অনির্দিষ্ট সময়।
লোকেশন শেয়ার করতে হলে আপনার ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে একজন বা একাধিক ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন। এছাড়া চাইলে লিঙ্ক জেনারেট করে তা সরাসরি পাঠানো সম্ভব। "Share" বাটনে ক্লিক করলে আপনার লোকেশন লাইভ আপডেট হতে থাকবে।
লাইভ লোকেশন শেয়ার করার সুবিধা
প্রাপক আপনার অবস্থান লাইভ ম্যাপে দেখতে পারবেন। প্রাপক সরাসরি আপনার অবস্থান অনুযায়ী নেভিগেট করতে পারবেন। শেয়ারিং বন্ধ করতে চাইলে আপনি এটি যে কোনো সময় বন্ধ করতে পারেন।
গুগল ম্যাপসের লোকেশন শেয়ারিং ফিচার দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করে। এটি শুধু নেভিগেশনই নয়, বরং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর। আপনি যদি এখনও এই ফিচারটি ব্যবহার না করে থাকেন, তবে এখনই ব্যবহার শুরু করুন এবং আপনার বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করুন।
ক্যাটাগরি
প্রযুক্তি