আজ, শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫‚ বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

২০৩২ সালে গ্রহাণুর পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের শঙ্কা

© Mehrab360
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি নতুন গ্রহাণু শনাক্ত করেছেন, যা ২০৩২ সালে পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের সামান্য সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই মহাজাগতিক বস্তুটির নাম দেওয়া হয়েছে “২০২৫ ডিএ”। এটি প্রথম পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে গত সপ্তাহে, এবং বর্তমানে নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা এর গতিপথ নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করছেন।

ছবির উৎসঃ theguardian.com


🔭 মূল তথ্যসমূহঃ
আকারঃ প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া (এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের প্রায় সমান)।  
সম্ভাবনাঃ বর্তমান হিসাবে ১,৫০০ ভাগের ১ ভাগ (টরিনো স্কেলে মাত্রা ১, যা ‘সাধারণ পর্যবেক্ষণ’ নির্দেশ করে)।  
সম্ভাব্য তারিখঃ ২০৩২ সালের আগস্ট মাস। 

নাসার গ্রহাণু বিশেষজ্ঞ ড. লিনা কোরটেজ বলেন,
এটি এখনই উদ্বেগের কারণ নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, সময়ের সাথে সাথে এমন গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। আগামী কয়েক মাসে আরও ডেটা সংগ্রহ করে আমরা আরও স্পষ্ট ধারণা পাব।
বৈশ্বিক মহাকাশ সংস্থাগুলো এই গ্রহাণুর গতিবিধি ট্র্যাক করতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ ও রাডার ব্যবহার করবে। যদি ঝুঁকি বাড়ে, তাহলে পৃথিবীকে সুরক্ষিত করতে বিশেষ মিশন পরিকল্পনা করা হতে পারে। বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ প্রায়ই সূর্য বা অন্যান্য গ্রহের মহাকর্ষীয় প্রভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে, এই ধরনের ঘটনা আমাদের মহাজাগতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে প্রেরণা দেয়। যদিও ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সক্রিয় করা হয়েছে। মহাকাশ গবেষকরা গ্রহাণুটির গতিপথ বিশ্লেষণ করছেন এবং সংঘর্ষ এড়ানোর সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে কাজ করছেন। মহাকাশ প্রযুক্তি, যেমন মহাকাশযান দিয়ে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন, এই পরিকল্পনার অংশ। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে মহাকাশ প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করছে এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরির দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে।

প্রভাব এবং প্রতিরোধ


যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ ঘটায়, তবে এটি একটি বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ধরনের সংঘর্ষের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া এবং মানবজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ করছেন, যেমনঃ
মহাকাশযান প্রেরণ করে গ্রহাণুটির গতিপথ বদলানো। শক্তিশালী বিস্ফোরণের মাধ্যমে গ্রহাণুকে ছোট টুকরায় বিভক্ত করা। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রহাণুর অবস্থান এবং গতিপথের আরও সঠিক তথ্য সংগ্রহ। এই সম্ভাব্য বিপর্যয় পৃথিবীর সব দেশের জন্য একীভূত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। জাতিসংঘ এবং মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো এই ঝুঁকি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছে। এটি মহাকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
© Mehrab360