বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

জৈব যৌগ ১ পর্ব - এইচএসসি প্রস্তুতি

© Mehrab360
এইচএসসি পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা জন্য জৈব যৌগ অংশ থেকে উত্তর করার জন্য সহজ উপায় আজকের হতে চলেছে। জৈব যৌগ সম্পূর্ণরূপে শেষ করার সহজতর উপায়, জৈব যৌগ নিয়ে আর ভয় থাকবেনা। কয়েকটি পর্বে সাজানো হয়েছে। ১ম পর্ব শুরু করা যাক...



জৈব যৌগ কি?
হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত যৌগ এবং এদের জাতককে জৈব যৌগ বলে।

প্রাণশক্তি মতবাদ কি? 
[বই দেখো] — প্রবক্তা ভার্জিনিয়াস। জীবন্ত প্রাণী ছাড়া জৈব যৌগ ল্যাবে প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। জৈব রসায়নের জনক ফ্রেডরিক উইলার। (ইউরিয়া তৈরি করেন)

জৈব যৌগের প্রাচুর্যতা বেশি কেন? (বই দেখো)
১. ক্যাটেনেশন
২. সমানুতা (আণবিক সংখ্যা একই, গাঠনিক সংকেত ভিন্ন)
৩. পলিমারকরণ

ক্যাটেনেশনঃ অসংখ্য কার্বন পরমাণুর সমযোজী বন্ধন দ্বারা নিজেদের মধ্যে যুক্ত হবার ক্ষমতাকে কার্বনের ক্যাটেনেশন বলে।

সমানুঃ


ইথানলঃ

        H   H

         |   |

    H — C — C — O — H

         |   |

        H   H


ডাই মিথাইল ইথারঃ


    

        H   H

         |   |

    H — C — O — C — H

         |       |

        H       H

    





* কার্বন ক্যাটেশন আরেকটি উদাঃ ফুলারিন

C60 → বুকমিনিস্টার ফুলারিন

সমগোত্রীয় শ্রেণীঃ একই প্রকার মৌল সমন্বয়ে গঠিত সমধর্মী জৈব যৌগ সমূহ কে এদের আণবিক ভরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যামানে অর্থাৎ অণুস্থিত কার্বন পরমাণু সংখ্যার বৃদ্ধি ক্রমে সারিবদ্ধ করে যদি প্রত্যেক পাশাপাশি দুটি যৌগের মধ্যে মিথিলিন মূলকের পার্থক্য থাকে এবং এ যৌগসমূহকে একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয় তবে ওই সারিকে ওই সব যৌগের সমগোত্রীয় শ্রেণী বলে।

কার্যকরী মূলকঃ জৈব যৌগে কার্যকরী মূলক হলো ওই যৌগে অণুস্থিত বিশেষ পরমাণু বা মূলক যা ওই জৈব যৌগের রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমগোত্রীয় শ্রেণীর পরিচায়ক।

বিভিন্ন কার্যকরী মূলকের কম্বিনেশনঃ
অগ্রগণ্যতার ক্রমঃ


১. কার্বক্সিলিক এসিড 
২. সালফোনিক এসিড
৩. এসিড হ্যালাইড
৪. এসিড অ্যামাইড                         ↑
৫. সায়ানাইড
৬. অ্যালডিহাইড                             ↑
৭. কিটোন
৮. অ্যালকোহল (–OH)                   ↑
৯. থায়োল (–SH)
১০. অ্যামিন 
১১. অ্যালকিন
১২. অ্যালকাইন
১৩. অ্যালকেন 

সমানুতাঃ

১. গাঠনিক সমানুতা

i. চেইন সমানুতা 
ii. অবস্থান সমানুতা (অ্যালকিন, অ্যালকাইল, অ্যালকোহল-এ শুধু দেখা যায়)
iii. কার্যকরী মূলক সমানুতা (অ্যালকোহল বনাম ইথার)
iv. মেটামারিজম  (ইথার, কিটোন, সেকেন্ডারি আমিন)
v. টটোমারিজম (কিটোন বনাম আলকিনল)

* টটোমারিজম কে গতিশীল মূলক সমানুতা বলা হয়। টটোমারিজম পাওয়ার শর্ত (আলফা হাইড্রোজেন থাকতে হবে।)

২. স্টেরিও/ত্রিমাত্রিক সমানুতা 

জ্যামিতিক সিস ট্রান্স সমানুতা 
আলোক সক্রিয় সমানুতা 

* ট্রান্স  সমানুর গলনাঙ্ক ও সুস্থিতি বেশি, অন্যদিকে সিস সমানুর ঘনত্ব, পানিতে দ্রাব্যতা, প্রতিসণাঙ্ক, স্ফুটনাংক বেশি।

আলোক সক্রিয় সমানুঃ

আলোক সমানু হতে হলে তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।

১. অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু (কাইরাল)
২. উভয় সমানু পরস্পরে দর্পণে প্রতিবিম্ব হবে।
৩. উভয় সমানু পরস্পরের উপর অসমাপতিত হবে।

* কাইরাল কার্বনের চার হাতে চারটি ভিন্ন ধরনের মূলক থাকে।

d: dextrorotatory ( ডানাবর্ত ) (+2.24°)
l: levorotatory ( বামাবর্ত ) (-2.24°)

* অ্যানানশিওমার কাকে বলে?
* ডায়াস্টেরিওমার কাকে বলে?
* রেসিমিক মিশ্রণ কাকে বলে?

রেসিমিকঃ দুটি এনানশিওমারের সমমোলার (d ও l) মিশ্রণকে রেসিমিক মিশ্রণ বলে। এটি সাধারণত আলোক নিরপেক্ষ হয়।

* মেসো যৌগ আলোক নিরপেক্ষ হয়।

পর্ব ২  শীঘ্রই আসছে....
{fullWidth}
© Mehrab360