ব্লু-ঘোস্টের মহাকাশযান প্রথম চাঁদে অবতরণ করেছে
© Mehrab360
© Mehrab360
ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস তাদের ব্লু ঘোস্ট মহাকাশযানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে। রবিবার এই মানববিহীন মহাকাশযানটি চাঁদের উত্তর-পূর্ব অংশের মারে ক্রিসিয়ামের কাছে অবতরণ করে, যেখানে এটি দুই সপ্তাহের বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে।
![]() |
সংগৃহীত | www.reuters.com |
ব্লু ঘোস্ট আকারে একটি ছোট গাড়ির মতো এবং এতে চারটি পা রয়েছে। এটি মোট ১০টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করেছে, যা চাঁদের মাটির গঠন, ভূ-তাপমাত্রা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করবে। স্পেসএক্সের রকেটে চেপে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে এটি প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মাইল ভ্রমণ শেষে চাঁদে পৌঁছায়। অবতরণের সময় ফায়ারফ্লাই-এর অস্টিন, টেক্সাস সদর দপ্তরের মিশন কন্ট্রোল রুমে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অবতরণের পর ব্লু ঘোস্টের প্রধান প্রকৌশলী উইল কুগান ঘোষণা করেন, “আমরা চাঁদে পৌঁছেছি,” যা সাথে সাথে মিশন কন্ট্রোল রুমে উল্লাস ছড়িয়ে দেয়। এটি দ্বিতীয় বেসরকারি কোম্পানি হিসেবে চাঁদে অবতরণ করল, তবে এটি নিজেকে প্রথম “সম্পূর্ণ সফল” সফট ল্যান্ডিংকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করেছে।
এই মিশনটি নাসার Commercial Lunar Payload Services (CLPS) প্রোগ্রামের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এর জন্য ফায়ারফ্লাই ১০১ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে চাঁদের পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করবে। পাশাপাশি, চীন, ভারত ও জাপানও নিজেদের চন্দ্রাভিযানকে এগিয়ে নিচ্ছে। ব্লু ঘোস্টের সৌর প্যানেলগুলো ১৪ দিন ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য শক্তি সরবরাহ করবে। তবে, চাঁদের অন্ধকার রাত শুরু হলে তাপমাত্রা -১৭৩°C পর্যন্ত নেমে যাবে, যা মহাকাশযানের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। ভবিষ্যতে, এমন আরও স্বল্প ব্যয়ের মিশন চাঁদে পাঠানো হবে, যা মহাকাশ গবেষণাকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
{fullWidth}
ক্যাটাগরি
মহাকাশ