প্রাণীরা যেভাবে আচরণ করে
© Mehrab360
মেহরব৩৬০ চ্যানেল ফলো করুন
© Mehrab360
বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয়ার প্রেক্ষিতে যে কোনো আচরণগত সাড়ার ব্যাপ্তি ও প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে। নির্দিষ্ট প্রাণীতে সব সময় একই উদ্দীপনা একই সাড়া ফেলতে পারে না। শুধু পারিপার্শ্বিক অবস্থাই নয়, সাড়া দানে পার্থক্যের বিষয়টি বহিঃস্থ বা অন্তঃস্থ উদ্দীপনার কারণেও ঘটে থাকতে পারে। যেমন-একটি ক্ষুধার্ত প্রাণীর সামনে পেটভর্তি খাবার যে প্রেরণার সৃষ্টি করবে তা ভরপেট প্রাণীতে করবে না।
অস্ট্রিয়ান প্রাণিবিজ্ঞানী কার্ল ফন ফ্রিস (Karl von Frisch, 1886-1982) ও কনরেড লরেঞ্জ (Konrad Lorenz, 1903-1989) এবং ডাচ জীববিজ্ঞানী নিকোলাস টিনবার্জেন (Nikolaas Tinbergen, 1907-1988)-কে ইথোলজির প্রধান স্থপতি হিসেবে গণ্য করা হয়। এ তিনজন বিজ্ঞানী প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাণীর আচরণের উপর অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এজন্য তাঁদেরকে ১৯৭৩ সালে শারীরবিজ্ঞান ও মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
একটি প্রাণী যদি একদিকে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত থাকে, অন্যদিকে শিকারী প্রাণীর ধাওয়ায় দৌড়ের উপরে থাকে আর তখন যদি লোভনীয় খাবার ওই প্রাণীর মুখের সামনে বাড়িয়ে দেয়া হয় তখন তার আচরণ হবে ভিন্ন। বিপদ না যাওয়া পর্যন্ত পলায়নপর প্রাণী কিছুই খাবে না। এভাবে, কোনো আচরণগত সাড়ার ব্যাপ্তি ও প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটার পিছনে বিভিন্ন উদ্দীপনার সম্মিলন কাজ করে। বিভিন্ন উদ্দীপনার এ সম্মিলন মোটিভেশন (motivation) বা প্রেরণা নামে পরিচিত।
কিছু প্রাণীর জননগত আচরণে মোটিভেশন উপাদান জড়িত থাকে। যেমন- অনেক প্রজাতির স্ত্রী সদস্য বছরের নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময়ে জননে অংশ নেয় না। এ সময়কালটি প্রাণিদেহে রজঃচক্রের (এস্ট্রাস চক্র) সঙ্গে জড়িত থাকে। তখন নিষেক, গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান ঐ প্রাণীর জন্য নিরাপদ ও অনুকূল। এ আচরণগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জৈবনিক ছন্দ (biological rhythms)। অনেক প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যে এ ছন্দ (বা মোটিভেশন) মিলে যায়, অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রার মোটিভেশন প্রয়োজন হয়। প্রাইমেট জাতীয় অনেক স্ত্রী সদস্যে যৌনাঙ্গের রং ও স্ফীতি এস্ট্রাস চক্রকে প্রকাশ করে। পুরুষ সদস্য তাতে আকৃষ্ট হয়ে জনন সম্পন্ন করে।
{fullWidth}
ক্যাটাগরি
বিজ্ঞান