বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

জৈব যৌগ ৪ পর্ব - এইচএসসি প্রস্তুতি

© Mehrab360
অ্যালকিন


সাধারণ সংকেতঃ

অ্যালকিনের সাধারণ সংকেত CnH2n এরা অসম্পৃক্ত যৌগ এবং পাশাপাশি দুটি কার্বনের মাঝে সাধারণত একটি বন্ধন থাকে।

অ্যালকিনের সাধারণ প্রস্তুত প্রণালীঃ

(১) অ্যালকোহলের প্রভাবকীয় নিরুদনঃ প্রায় 350° C - 400°C - এ উত্তপ্ত অ্যালুমিনা (Al2O3) গুঁড়ার ওপর দিয়ে অ্যালকোহলের বাষ্পকে চালনা করলে এক অণু পানি অপসারিত হয়ে অ্যালকিন উৎপন্ন হয়।
(২) ভিসিনাল ডাইহ্যালাইড থেকেঃ সন্নিহিত অথবা ভিসিনাল ডাইহ্যালাইডকে জিংক চূর্ণসহ উত্তপ্ত করলে হ্যালোজেন অপসারিত হয়ে অ্যালকিন তৈরি হয়।
(৩) হ্যালোঅ্যালকেন থেকেঃ হ্যালো অ্যালকেন বা অ্যালকাইল হ্যালাইডকে অ্যালকোহলীয় ও কস্টিক পটাশ বা কস্টিক সোডা দ্বারা উত্তপ্ত করলে HX এর অপসারণ এর মাধ্যমে অ্যালকিন উৎপন্ন হয়।
(৪) অ্যালকাইনের নিয়ন্ত্রিত বিজারণ, প্রভাবের উপস্থিতিতে অ্যালকাইন আংশিক বিজারিত করা যায়। প্রভাবক হিসেবে Pd - সিলিকা জেলেও ব্যবহার করা যায়। পলিথিন ও শিল্পভিত্তিক ইথাইল অ্যালকোহল উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ ইথিন গ্যাসের প্রয়োজন এই ইথিন গ্যাস প্রধানত পেট্রোলিয়াম ক্রাকিং পদ্ধতিতে উৎপাদন করা যায়।

মার্কনিকভের নীতিঃ

অপ্রতিসম অ্যালকিন ও অপ্রতিসম বিকারকের সংযোজন বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে দুটি উৎপাদ হয়। প্রধান উৎপাদ কোনটি হবে তা মার্কনিকভের নীতি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। অপ্রতিসম অ্যালকিন এবং অপ্রতিসম বিকারকের সংযোজন বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিকারক অণু H বা আপেক্ষিক ধনাত্মক (Δ⁺) অংশ সেই কার্বনের সাথে যুক্ত হবে যার সাথে আগের থেকে যুক্ত H সংখ্যা বেশি। সুতরাং মার্কনিকভের নীতিকে প্রকাশ করা যায় “তেলা মাথায় তেল দেওয়া”। 

অ্যালকিনের শনাক্তকরণ বিক্রিয়াঃ

১. ব্রোমিন পরীক্ষাঃ তরল ব্রোমিনকে কার্বন টেট্রাক্লোরাইড কে দ্রবীভূত করে ২% দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়। ব্রোমিনের এ দ্রবণটি লালচে বর্ণের হয়। অ্যালকিনের সাথে ব্রোমিনের লাল দ্রভণ মিশালে যদি ব্রোমিনের লালছে বাদামী বর্ণের সাথে সাথে দ্রবীভূত হয়, তবে সেটি অ্যালকিন।


২. বেয়ার পরীক্ষাঃ ক্ষারীয় ২ শতাংশ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট লালচে বেগুনি বর্ণের দ্রবণ যুক্ত। শীতল ও লঘু এ বেগুনি বর্ণের দ্রবণ অ্যালকিন এর উপস্থিতিতে দ্রুত বর্ণহীন দ্রবণে পরিণত হয়। এ পরীক্ষা দুটি জৈব যৌগের অসম্পৃক্ততার শনাক্তকারী পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত। একে অ্যালকিনের হাইড্রোক্সিলেশন বিক্রিয়াও বলে। উল্লেখ্য, ক্ষারীয় লঘু পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণকে বেয়ার বিকারক বলে।
{fullWidth}
© Mehrab360